পবিত্র মাহে রমজান। মাহে রমজান মুসলমানদের জন্য বিশেষ
একটি পাওয়া। এই মাসে আল্লাহ তাআলা বান্দাদের দোয়া কবুল
করেন। এ মাসে ইবাদাত-বন্দেগি করে মানুষ বাকি ১১ মাস
সঠিক পথে চলার চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ নেয়। পবিত্র রমজান
মাসেই ‘কম কথা বলার অভ্যাস তৈরি হয়; ইবাদত বন্দেগির জন্য
অল্প নিদ্রার অভ্যাস তৈরি হয় আবার রমজানের সিয়াম সাধনায়
স্বল্প আহারের অভ্যাসও তৈরি হয়।
আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্ট লাভ করতে হলে আমাদের খারাপ
কাজ থেকে বিরতি থাকতে হবে। রমজানের এ তিনটি অভ্যাস
মানুষকে সারা বছরের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে তৈরি
করে গড়ে তোলো। বিশেষ করে গরিব-দুঃখীর ক্ষুধার
যন্ত্রণা অনুভব করার মাসও এ রমজান।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘এই
মাসে চারটি কাজ অবশ্যক করণীয়। দুটি কাজ তো এমন যে,
তার দ্বারা তোমাদের প্রতিপালক সন্তুষ্ট হন। আর অবশিষ্ট দুটি
এমন, যা ছাড়া তোমাদের কোনো গত্যন্তর নেই।
কাজ চারটি হলো-
-কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করা
- অধিক পরিমাণে ইসতেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করা। কালেমা
শাহাদাতের জিকির এবং অধিক পরিমাণে তাওবা ইসতেগফার
আল্লাহ তাআলার দরবারে অতি পছন্দনীয় কাজ।
- জান্নাত লাভের আশা করা; এবং
- জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের প্রার্থনা করা। এ দুটি বিষয় এমন,
যা তোমাদের (মুসলিম উম্মাহর) জন্য একান্ত জরুরি।’ (ইবনে
খুজাইমা)
হাদিসে এসেছে যে ব্যক্তি প্রতিদিন তিনবার জান্নাত লাভ এবং
জাহান্নাম থেকে মুক্তির প্রার্থনা করবে; জান্নাত ও জাহান্নাম
ওই ব্যক্তির জান্নাত প্রাপ্তিতে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা
করতে থাকবে। তাই মুসলিম উম্মাহর উচিত এ মাসে এ
দোয়াটি বেশি বেশি পড়া-
ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍَﺩْﺧِﻠْﻨَﺎ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﻭ ﻭَ ﻧَﻌُﻮْﺫُﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আদখিলনাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনান
নার।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাদিগকে বেহেশত দান করুন এবং
আমাদিগকে দোজখ হতে মুক্তি দান করুন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মাগফিরাতের দশকের
প্রথম দিন থেকেই এ চারটি বিষয়ের প্রতি যথাযথ যত্নবান
হওয়ার তাওফিক দান করুন। জান্নাত লাভে এ দোয়াটি বেশি
বেশি পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।