যে ৫ সময়ের দোয়া মহান আল্লাহ কবুল করেন

ইসলাম ডেস্ক: দোয়া মানে প্রার্থনা। আল্লাহ মহানের কাছে কিছু চাওয়া। আবদার করা বা কোনো সমস্যা-বিপদ থেকে উত্তরণের জন্য আকুতি জানানো। আল্লাহ মহানের শান হচ্ছে- বান্দা তার কাছে চাইলে (প্রার্থনা বা দোয়া) খুশি, আর না চাইলে তিনি অ-খুশি হন। যে কোনো কাজেরই সুনির্দিষ্ট একটি সময় রয়েছে। কখন দোয়া করলে তা অবশ্যই কবুল কবে বা কখন দোয়া করা একেবারই উচিত না- ইসলামে এমন বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা রয়েছে। কারণ ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান।
বিভিন্ন হাদিস এমন কিছু সময়ের কথা আলোচিত হয়েছে যখন কোনো দোয়া বা প্রার্থনা করলে অবশ্যই তা আল্লাহ মহানের দরবারে কবুল হয়। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেই কখন বা কোন সময় দোয়া করলে অবশ্যই তা কবুল হয়।
১. রাতের শেষ তৃতীয়াংশের যদি দোয়া করা হয়, তাহলে তা কবুল হয়- রাতের শেষ তৃতীয়াংশের দোয়া অবশ্যই কবুল করা হয়। হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ মহান সবচেয়ে কাছের আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, কে আমাকে ডাকছো? আমি তোমার ডাকে সাড়া দেব। কে আমার কাছে চাইছো? আমি তাকে তা দেব। কে আছো আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনাকারী’ আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব। (মুসলিম)
২. জুমার দিনের দোয়া অবশ্যই কবুল করা হয়- হাদিসে এসেছে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) আমাদের একদিন শুক্রবারে ফজিলত নিয়ে আলোচনা করছিলেন । আলোচনায় সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, যে সময়টায় যদি কোনো মুসলিম নামাজ আদায়রত অবস্থায় পায় এবং আল্লাহর কাছে কিছু চায়, আল্লাহ মহান অবশ্যই তার সে চাহিদা বা দোয়া কবুল করবেন এবং এরপর রাসূল (সা.) তার হাত দিয়ে ইশারা করে সময়টা সংক্ষিপ্ততার ইঙ্গিত দেন।’ (বুখারি)
৩. আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ের দোয়া কবুল হয়- হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ের দোয়া করা হলে তা ফিরিয়ে দেয়া হয় না।’ (তিরমিজি)
৪. সেজদারত অবস্থায় দোয়া করা হলে তা কবুল হয়- রাসূল (সা.) বলেন, ‘যে সময়টাতে বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে নিকটতম অবস্থায় থাকে তা হলো সেজদারত অবস্থা। সুতরাং তোমরা সে সময় আল্লাহর কাছে বেশি বেশি চাও বা প্রার্থনা করো।’ (মুসলিম)
৫. জমজমের পানি পান করার সময়ের দোয়া করা হলে তা কবুল হয়- রাসূল (সা.) বলেন, ‘জমজম পানি যে নিয়তে পান করা হবে, তা কবুল হবে।’ অর্থাৎ এই পানি পান করার সময় যে দোয়া করা হবে, ইনশাআল্লাহ তা অবশ্যই কবুল হবে। (ইবনে মাজাহ)

Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post