মানুষ ভুল করে, ভুলে যায়, বিস্মরিত হয়, অন্যায় করে ফেলে, অন্যায় হয়ে যায়। একজন মানুষ প্রতিদিনই কোন না কোন ভুল বা অন্যায় করে ফেলতে পারে। এগুলো মানুষ্য বৈশিষ্ট্যের মাঝেই পড়ে। তবে সেসব থেকে সংশোধিত হওয়া ও ফিরে এসে আল্লাহ-সমীপে অবনত মস্তকে তাওবাহ করতে পারাই প্রতিদিনের সফলতা ও আল্লাহর পছন্দনীয় উত্তম গুণ। আল্লাহর কত আশা জাগানিয়া কথা রাসুলুল্লাহ সা. হাদিসে পাকে বলছেন- ﻛﻞ ﺑﻨﻲ ﺁﺩﻡ ﺧﻄﺎﺀ ﻭ ﺧﻴﺮ ﺍﻟﺨﻄﺎﺋﻴﻦ ﺍﻟﺘﻮﺍﺑﻮﻥ “সমস্ত আদম সন্তানেরাই বারবার গুনাহ করতে থাকে। তবে গুনাহগারদের মাঝে সর্বদা তাওবাহকারীরাই সর্বোত্তম।” (তিরমিযি)
তাই কোন গুনাহ হয়ে গেলে, কোন গুনাহে জড়িয়ে পড়লে আমরা যেন আল্লাহর কাছে ফিরে আসি, একনিষ্ঠ হৃদয়ে তাওবাহ করি। আলেমগণ বলেন, সকল প্রকার গুনাহ ও অন্যায় অপরাধ থেকে তাওবাহ করা ওয়াজিব তথা অবশ্য করণীয়।
তাওবাহ শব্দের আভিধানিক অর্থ - ফিরে আসা। পরিভাষায় তাওবাহহ বলা হয়- যে সকল কথা ও কাজ মানুষকে আল্লাহর নৈকট্য থেকে দূরে সরিয়ে দেয় তা থেকে ফিরে এসে ঐ সকল কথা ও কাজে লেগে যাওয়া, যা দিয়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায় ও তাঁর অসন্তুষ্টি থেকে বেঁচে থাকা যায়।
এক কথায় গুনাহ-কাজ থেকে ফিরে এসে সৎকাজে প্রবৃত্ত হওয়া।
গুনাহ বা অপরাধ দু’ ধরনের হয়ে থাকে :
এক. যে সকল গুনাহ শুধুমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের হক বা অধিকার সম্পর্কিত। যেমন শিরক করা, নামায আদায় না করা, মদ্যপান করা, সুদের লেনদেন করা ইত্যাদি।
দুই. যে সকল গুনাহ বা অপরাধ মানুষের অধিকার সম্পর্কিত। যে গুনাহ করলে কোন না কোন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যেমন, যুলুম-অত্যাচার, চুরি-ডাকাতি, ঘুষ খাওয়া, অন্যায়ভাবে সম্পদ আত্নসাৎ ইত্যাদি।
প্রথম প্রকার গুনাহ থেকে আল্লাহর কাছে তাওবাহ ও ক্ষমা প্রার্থনা করার সাথে তিনটি শর্তের উপস্থিতি জরুরী।
শর্ত তিনটি হল :
১. গুনাহ কাজটি পরিহার করা।
২. কৃত গুনাহটিতে লিপ্ত হওয়ার কারণে আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত হওয়া।
৩. ভবিষ্যতে আর এ গুনাহ করব না বলে দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করা।
দ্বিতীয় প্রকার গুনাহ থেকে তাওবাহ করার শর্ত হল মোট চারটি:
১. গুনাহের কাজটি পরিহার করা।
২. কৃত গুনাহটিতে লিপ্ত হওয়ার কারণে আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত হওয়া।
৩. ভবিষ্যতে আর এ গুনাহ করব না বলে দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করা।
৪. পাপের কারণে যে মানুষটির অধিকার ক্ষুন্ন করা হয়েছে বা যে লোকটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার পাওনা পরিশোধ করা বা যথাযথ ক্ষতিপুরণ দিয়ে তার সাথে মিটমাট করে নেয়া অথবা তার কাছে ক্ষমা চেয়ে দাবী ছাড়িয়ে নেয়া।
মানুষের কর্তব্য হল, সে সকল প্রকার গুনাহ থেকে তাওবাহ করবে, যা সে করেছে। যদি সে এক ধরনের গুনাহ থেকে তাওবাহ করে, অন্য ধরনের গুনাহ থেকে তাওবাহ না করে তাহলেও সে গুনাহটি থেকে তাওবাহ হয়ে যাবে। তবে অন্যান্য গুনাহ থেকে তাওবাহ তার দায়িত্বে থেকে যাবে। একটি বা দুটি গুনাহ থেকে তাওবাহ করলে সকল গুনাহ থেকে তাওবাহ বলে গণ্য হয় না। যেমন এক ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলে, ব্যভিচার করে, মদ্যপান করে। সে যদি মিথ্যা কথা ও ব্যভিচার থেকে যথাযথভাবে তাওবাহ করে তাহলে এ দুটো গুনাহ থেকে তাওবাহ হয়ে যাবে ঠিকই। কিন্তু মদ্যপানের গুনাহ থেকে তাওবাহ হবে না। এর জন্য আলাদা তাওবাহ করতে হবে। আর যদি তাওবাহর শর্তাবলী পালন করে সকল গুনাহ থেকে এক সাথে তাওবাহ করে তাহলেও তা আদায় হয়ে যাবে।
তাওবাহ করে আবার গুনাহে লিপ্ত হয়ে পড়লে আবারও তাওবাহ করতে হবে। তাওবাহ রক্ষা করা যায় না বা বারবার তাওবাহ ভেঙ্গে যায়- এ অজুহাতে তাওবাহ না করা শয়তানের একটি ধোঁকা। কেননা আমরা উপরের হাদিস থেকে জেনেছি বারবার একনিষ্ঠ তাওবাহকারিদের উত্তম বলা হয়েছে। তবে অন্তর দিয়ে তাওবাহ করে তার উপর অটল থাকতে আল্লাহ তাআলার কাছে তাওফীক কামনা করা যেতে পারে। এটা তাওবাহর উপর অটল থাকতে সহায়তা করে।
কুরআন, হাদীস ও উম্মাতের ঐক্যমতে প্রমাণিত হয়েছে যে, গুনাহ থেকে তাওবাহ করা ওয়াজিব।
আল্লাহ তাআলা বলেন- ﻭَﺗُﻮﺑُﻮﺍ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺟَﻤِﻴﻌًﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨُﻮﻥَ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗُﻔْﻠِﺤُﻮﻥَ
“হে ঈমানদারগন! তোমরা সকলে আল্লাহর কাছে তাওবাহ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।” (সূরা নূর : ৩১)
তিনি আরো বলেন- ﻭَﺃَﻥِ ﺍﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُﻭﺍ ﺭَﺑَّﻜُﻢْ ﺛُﻢَّ ﺗُﻮﺑُﻮﺍ ﺇِﻟَﻴْﻪ
“আর তোমরা আপন প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর, অতঃপর তাওবাহ কর।” (সূরা হুদ : ৩)
তিনি আরো বলেন- ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁَﻣَﻨُﻮﺍ ﺗُﻮﺑُﻮﺍ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺗَﻮْﺑَﺔً ﻧَﺼُﻮﺣًﺎ .
“হে ঈমানদারগন! তোমরা আল্লাহর নিকট তাওবাহ কর, বিশুদ্ধ তাওবাহ।” (সূরা তাহরীম : ৮)
এ আয়াতসমূহ থেকে আমরা যা শিখতে পারি:
(১) আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সকল ঈমানদারকে তাওবাহ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
(২) তাওবাহ দুনিয়া ও আখেরাতের সাফল্য লাভের মাধ্যম।
(৩) তাওবাহর আগে ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। তারপর তাওবাহ। ভবিষ্যতে এমন গুনাহ আর করব না বলে তাওবাহ করলাম কিন্তু অতীতে যা করেছি এ সম্পর্কে ক্ষমা প্রার্থনা করলাম না। মনে মনে ভাবলাম যা করেছি তা করার দরকার ছিল, ক্ষমা চাওয়ার প্রয়োজন কি? তাহলে তাওবাহ কবুল হবে না। যেমন দ্বিতীয় আয়াতটিতে আমরা দেখি, আল্লাহ তাআলা বলেনঃ আর তোমরা নিজেদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর, তারপর তাওবাহ কর।
(৪) তাওবাহ ও ইস্তিগফার হল পার্থিব জীবনে সুখ-শান্তি ও স্বচ্ছল জীবিকা লাভের একটি মাধ্যম যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন-
ﻭَﺃَﻥِ ﺍﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُﻭﺍ ﺭَﺑَّﻜُﻢْ ﺛُﻢَّ ﺗُﻮﺑُﻮﺍ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﻳُﻤَﺘِّﻌْﻜُﻢْ ﻣَﺘَﺎﻋًﺎ ﺣَﺴَﻨًﺎ ﺇِﻟَﻰ ﺃَﺟَﻞٍ ﻣُﺴَﻤًّﻰ
“আর তোমরা নিজেদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর তৎপর তাওবাহ কর, তিনি তোমাদের নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত সুখ-সম্ভোগ দান করবেন।” (সূরা হুদ : ৩)
নূহ আলাইহিস সালাম তার সমপ্রদায়কে বলেছিলেন-
ﻓَﻘُﻠْﺖُ ﺍﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُﻭﺍ ﺭَﺑَّﻜُﻢْ ﺇِﻧَّﻪُ ﻛَﺎﻥَ ﻏَﻔَّﺎﺭًﺍ ﴾ ﻳُﺮْﺳِﻞِ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀَ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻣِﺪْﺭَﺍﺭًﺍ ﴾ ﻭَﻳُﻤْﺪِﺩْﻛُﻢْ ﺑِﺄَﻣْﻮَﺍﻝٍ ﻭَﺑَﻨِﻴﻦَ ﻭَﻳَﺠْﻌَﻞْ ﻟَﻜُﻢْ ﺟَﻨَّﺎﺕٍ ﻭَﻳَﺠْﻌَﻞْ ﻟَﻜُﻢْ ﺃَﻧْﻬَﺎﺭًﺍ ﴾
“আমি বললাম, তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর, তিনি তো ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন। তিনি তোমাদের সমৃদ্ধি দান করবেন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতিতে এবং তোমাদের জন্য সৃষ্টি করবেন উদ্যান ও প্রবাহিত করবেন নদী-নালা।” (সূরা নূহ : ১০-১২)
(৫) আল্লাহ তাআলা বিশুদ্ধ তাওবাহ করতে আদেশ করেছেন। বিশুদ্ধ তাওবাহ হল যে তাওবাহ করা হয় সকল শর্তাবলী পালন করে। শর্তসমূহ ইতিপূর্বে আলোচিত হয়েছে।
রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন- ﻳَﺎ ﺃﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﺗُﻮْﺑُﻮﺍ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﻠﻪ، ﻓﺈﻧِّﻲ ﺃﺗُﻮْﺏُ ﻓِﻲ ﺍﻟﻴَﻮْﻡِ ﻣِﺌَﺔَ ﻣَﺮَّﺓً.
হে মানব সকল! তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা কর। আর আমি দিনে একশত বারের বেশী তাওবা করে থাকি। (সহিহ মুসলিম)
তিনি আরও বলেছেন-
ﻟَﻠَّﻪُ ﺃَﺷَﺪُّ ﻓَﺮَﺣًﺎ ﺑِﺘَﻮْﺑَﺔِ ﻋَﺒْﺪِﻩِ ﺣِﻴْﻦَ ﻳَﺘُﻮْﺏُ ﺇﻟَﻴْﻪِ ﻣِﻦْ ﺃَﺣَﺪِﻛُﻢْ ﻛَﺎﻥَ ﻋَﻠﻰ ﺭَﺍﺣِﻠَﺘِﻪِ ﺑِﺎَﺭْﺽٍ ﻓَﻼﺓٍ، ﻓَﺎﻧْﻔَﻠَﺘَﺖْ ﻣِﻨْﻪُ ﻭَﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻃَﻌَﺎﻣُﻪُ ﻭَﺷَﺮَﺍﺑُﻪُ، ﻓَﺄَﻳِﺲَ ﻣِﻨْﻬَﺎ ﻓَﺄَﺗَﻰ ﺷَﺠَﺮَﺓً ﻓَﺎﺳْﻄَﺠَﻊَ ﻓِﻲ ﻇِﻠِّﻬَﺎ ﻭَﻗَﺪْ ﺃَﻳِﺲَ ﻣِﻦْ ﺭَﺍﺣِﻠَﺘِﻪِ . ﻓَﺒَﻴْﻨَﻤَﺎ ﻫُﻮَ ﻛَﺬَﻟِﻚ ﺇﺫْ ﻫُﻮَ ﺑِﻬَﺎ ﻗَﺎﺋِﻤَﺔً ﻋِﻨْﺪَﻩُ، ﻓَﺄَﺧَﺬَ ﺑِﺤِﻄﺎَﻣِﻬَﺎ ﺛُﻢَّ ﻗﺎَﻝَ ﻣِﻦْ ﺷِﺪَّﺓِ ﺍﻟﻔَﺮَﺡِ : ﺃﻟﻠﻬُﻢَّ ﺃﻧْﺖَ ﻋَﺒْﺪِﻱ ﻭَﺃﻧَﺎ ﺭَﺑُّﻚَ، ﺃَﺧْﻄَﺄَ ﻣِﻦْ ﺷِﺪَّﺓِ ﺍﻟﻔَﺮَﺡِ .
“আল্লাহ তার বান্দার তাওবায় ঐ ব্যক্তির চেয়েও অধিক আনন্দিত হন, যার উট খাদ্য ও পানীয়সহ জনমানবহীন মরুভূমিতে হারিয়ে গেছে। এ কারণে সে জীবন থেকে নিরাশ হয়ে কোন এক গাছের নীচে শুয়ে পড়ল। এমন নৈরাশ্য জনক অবস্থায় হঠাৎ তার কাছে উটটিকে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে এর লাগাম ধরে আনন্দে আত্নহারা হয়ে বলে ফেলল, হে আল্লাহ! তুমি আমার বান্দা, আমি তোমার প্রভূ। অর্থাৎ সে এ ভুলটি করেছে আনন্দের আধিক্যে।” (বুখারী, মুসলিম)
হাদিসদ্বয় থেকে আমাদের শিক্ষা
(১) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন মাসূম অর্থাৎ সকল গুনাহ থেকে মুক্ত। তারপরও তিনি কেন ইস্তিগফার ও তওবা করেছেন? উত্তর হলঃ
ক. তিনি উম্মতকে ইস্তিগফার ও তাওবার গুরুত্ব অনুধাবন করানোর জন্য নিজে তা আমল করেছেন।
খ. গুনাহ না থাকলেও তাওবা ইস্তিগফার করা যায়। এটা বুঝাতে তিনি এ আমল করেছেন। আর তখন তওবা ও ইস্তিগফারের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার কাছে মর্যাদা বৃদ্ধি হয়।
(২) ইস্তেগফার ও তওবা হল ইবাদত। পাপ না করলে তা করা যাবে না এমন কোন নিয়ম নেই। কেহ যদি তার নজরে কোন পাপ নাও দেখে তবুও সে যেন ইস্তিগফার ও তাওবাহ পরিহার না করে। হতে পারে তার দ্বারা অজান্তে কোন গুনাহ সংঘটিত হয়ে গেছে বা কোন গুনাহ করে সে ভুলে গেছে।
(৩) হাদীসে এক’শ সংখ্যাটি আধিক্য বুঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সংখ্যা বুঝাতে ব্যবহার করা হয়নি। তাই দেখা যায় এ হাদিসে একশ বারের কথা এসেছে, তো অন্য হাদিসে সত্তর বারের কথাও এসেছে।
(৪) ইস্তিগফার ও তাওবাহ আমলটি সর্বদা অব্যাহত রাখা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নত।
(৫) আল্লাহ তাআলা কত বড় মেহেরবান যে, তিনি বান্দার তাওবা কবুল করে থাকেন ও তাওবাকারীকে ভালোবাসেন। যেমন তিনি নিজেই বলেছেন : ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﺘَّﻮَّﺍﺑِﻴﻦَ ﻭَﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟْﻤُﺘَﻄَﻬِّﺮِﻳﻦَ “নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবাহকারীদের ভালোবাসেন এবং ভালোবাসেন পবিত্রতা অর্জনকারীদের। (সূরা বাকারাহ-২২২)
(৬) রাসূলুল্লাহ সা. তার উম্মাতকে তাওবাহ করতে উৎসাহ দিয়েছেন।
(৭) অনিচ্ছাকৃত পাপ বা ভুলের শাস্তি আল্লাহ দেবেন না। যেমন উল্লেখিত ব্যক্তি অনিচ্ছায় আল্লাহকে বান্দা বলে ফেলেছে।
(৮) ওয়াজ-নসীহতে ও শিক্ষা দানে বিভিন্ন উদাহরণ, উপমা দেয়া দোষের কিছু নয়। বরং উত্তম। যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ হাদীসে এক ব্যক্তির উপমা দিয়েছেন।
মহান রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে উপরোক্ত আলোচনা থেকে শিক্ষা লাভ করে আমলে পরিণত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Tags
ধর্ম ও জীবন