যে নামাজ পড়ে না তার কি হবে?

ইসলাম যে পাঁচটি বেনা বা খুঁটির ওপর প্রতিষ্ঠিত তার মধ্যে নামাজ হলো দ্বিতীয়। নামাজ মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য ফরজ ইবাদত। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে অসংখ্যবার ইমানদার ব্যক্তিদের নামাজ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। তাইতো নামাজ আদায় করলে আল্লাহ খুশি হন, তাঁর নৈকট্য লাভ করা যায়।
কিন্তু যে ব্যক্তি নামাজ পড়ে না তার কি হবে? যে ব্যক্তি নামাজ পড়ে না তাকে নামাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে মুসলমান হিসেবে আপনার করনীয় কি?
এমনই একটি প্রশ্নের সুন্দর জবাব দিয়েছেন ইমাম গাজ্জালি (র:)-
একদা হুজ্জাতুল ইসলাম হজরত ইমাম গাজ্জালি রহমাতুল্লাহি আলাইহি'কে এক যুবক প্রশ্ন করলো, হে শায়খ! যে ব্যক্তি নামাজ পড়ে না তার প্রতি আমাদের করণীয় কি?
তিনি উত্তর দিলেন, নামাজ তরককারী ব্যক্তির প্রতি হুকুম হলো, তুমি তাকে তোমার সঙ্গে করে নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে নিয়ে যাবে।’ কাজির (শাসকের) ভূমিকায় নয় বরং আল্লাহর পথে আহ্বানকারী হিসেবে। যারা নামাজ পড়ে না; ইসলামের প্রতি আহ্বানকারীরা যদি চেষ্টা করে তবে তাকে নামাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে এবং সমাজে নামাজ প্রতিষ্ঠা করতে এর বিকল্প নেই।’
হাদিসে প্রিয় নবী (সঃ) নামাজ তরককারীর ব্যাপারে কঠোর সতর্কবার্তা প্রদান করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ছেড়ে দিল সে কুফরি করল।’
অন্য হাদিসে আছে, ‘ইসলাম ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য নিরূপনকারী হচ্ছে নামাজ।’
সুতরাং কোনোভাবেই নামাজ ছেড়ে দেয়া উচিত নয়। কুরআনের ঘোষণা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা প্রত্যেক ঈমানদার মুসলমান নারী-পুরুষের জন্য আবশ্যক।
মহান আল্লাহ কুরআনে পাকে বলেন, 'নিশ্চয় নামাজ মানুষকে সকল পাপ ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে'।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেককে ইসলামের পথের দায়ি তথা আহ্বানকারী হিসেবে কবুল করুন। প্রত্যেককে যথাযথভাবে নামাজ আদায় করার এবং সকল পাপ ও খারাপ কাজ থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post