মহামারি নিয়ে পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনে যা বলা হয়েছে। আয়াতগুলো পড়লে মনে হবে মাত্র নাযিল হয়েছে। যদিও তা বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দেড় হাজার বছর আগের।
সুরা আহযাব: ৯
আর তারপর আমি তোমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে পাঠিয়েছিলাম এক ঝঞ্ঝা বায়ু এবং এক বাহিনী। এমন এক বাহিনী যা তোমরা চোখে দেখতে পাওনি।
সুরা আনআম: ৪২
তারপর আমি তাদের ওপর রোগব্যাধি, অভাব, দারিদ্র্য, ক্ষুধা চাপিয়ে দিয়েছিলাম, যেন তারা আমার কাছে নম্রতাসহ নতি স্বীকার করে।
তারপর আমি তাদের ওপর রোগব্যাধি, অভাব, দারিদ্র্য, ক্ষুধা চাপিয়ে দিয়েছিলাম, যেন তারা আমার কাছে নম্রতাসহ নতি স্বীকার করে।
সুরা ইয়াসিন: ২৮-২৯
তারপর (তাদের এই অবিচারমূলক জুলুম কার্য করার পর) তাদের বিরুদ্ধে আমি আকাশ থেকে কোনো সেনাদল পাঠাইনি। পাঠানোর কোনো প্রয়োজনও আমার ছিল না। শুধু একটা বিস্ফোরণের শব্দ হলো, আর সহসা তারা সব নিস্তব্ধ হয়ে গেল (মৃত লাশ হয়ে গেল)।
তারপর (তাদের এই অবিচারমূলক জুলুম কার্য করার পর) তাদের বিরুদ্ধে আমি আকাশ থেকে কোনো সেনাদল পাঠাইনি। পাঠানোর কোনো প্রয়োজনও আমার ছিল না। শুধু একটা বিস্ফোরণের শব্দ হলো, আর সহসা তারা সব নিস্তব্ধ হয়ে গেল (মৃত লাশ হয়ে গেল)।
সুরা আ’রাফ: ১৩৩
শেষ পর্যন্ত আমি এই জাতিকে পোকামাকড় বা পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ, রক্ত, প্লাবন ইত্যাদি দ্বারা শাস্তি দিয়ে ক্লিষ্ট করি।
শেষ পর্যন্ত আমি এই জাতিকে পোকামাকড় বা পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ, রক্ত, প্লাবন ইত্যাদি দ্বারা শাস্তি দিয়ে ক্লিষ্ট করি।
সুরা বাকারা: ২৬
নিশ্চয়ই আল্লাহ মশা কিংবা এর চাইতেও তুচ্ছ বিষয় (ভাইরাস বা জীবাণু) দিয়ে উদাহরণ বা তাঁর নিদর্শন প্রকাশ করতে লজ্জা বোধ করেন না।
নিশ্চয়ই আল্লাহ মশা কিংবা এর চাইতেও তুচ্ছ বিষয় (ভাইরাস বা জীবাণু) দিয়ে উদাহরণ বা তাঁর নিদর্শন প্রকাশ করতে লজ্জা বোধ করেন না।
সুরা আ’রাফ: ৯৪
ওর অধিবাসীদের আমি দুঃখ, দারিদ্র্য, রোগব্যাধি এবং অভাব-অনটন দ্বারা আক্রান্ত করে থাকি। উদ্দেশ্য হলো তারা যেন, নম্র এবং বিনয়ী হয়।
ওর অধিবাসীদের আমি দুঃখ, দারিদ্র্য, রোগব্যাধি এবং অভাব-অনটন দ্বারা আক্রান্ত করে থাকি। উদ্দেশ্য হলো তারা যেন, নম্র এবং বিনয়ী হয়।
সুরা মুদ্দাসসির: ৩১
তোমার রবের সেনাদল বা সেনাবাহিনী (কত প্রকৃতির বা কত রূপের কিংবা কত ধরনের) তা শুধু তিনিই জানেন।
তোমার রবের সেনাদল বা সেনাবাহিনী (কত প্রকৃতির বা কত রূপের কিংবা কত ধরনের) তা শুধু তিনিই জানেন।
সুরা আল-আনআম: ৬৫
তুমি তাদের বলো যে, আল্লাহ তোমাদের ঊর্ধ্বলোক হতে বা ওপর থেকে এবং তোমাদের পায়ের নিচ হতে শাস্তি বা বিপদ পাঠাতে পূর্ণ সক্ষম।
তুমি তাদের বলো যে, আল্লাহ তোমাদের ঊর্ধ্বলোক হতে বা ওপর থেকে এবং তোমাদের পায়ের নিচ হতে শাস্তি বা বিপদ পাঠাতে পূর্ণ সক্ষম।
সুরা আল আ’রাফ: ৯১
তারপর আমার ভূমিকম্প তাদের গ্রাস করে ফেলল। ফলে তারা তাদের নিজেদের গৃহেই মৃত অবস্থায় উল্টো হয়ে পড়ে রইল।
তারপর আমার ভূমিকম্প তাদের গ্রাস করে ফেলল। ফলে তারা তাদের নিজেদের গৃহেই মৃত অবস্থায় উল্টো হয়ে পড়ে রইল।
সুরা আল কামার: ৩৪
তারপর আমি এই লূত সম্প্রদায়ের ওপর প্রেরণ করেছিলাম প্রস্তর বর্ষণকারী এক প্রচণ্ড ঘূর্ণিবায়ু।
তারপর আমি এই লূত সম্প্রদায়ের ওপর প্রেরণ করেছিলাম প্রস্তর বর্ষণকারী এক প্রচণ্ড ঘূর্ণিবায়ু।
সুরা ইউনুস: ১৩
অবশ্যই আমি তোমাদের পূর্বে বহু জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছি, যখন তারা সীমা অতিক্রম করেছিল।
অবশ্যই আমি তোমাদের পূর্বে বহু জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছি, যখন তারা সীমা অতিক্রম করেছিল।
সুরা সাবা: ১৬
তারপর প্রবল বন্যার পানি তৈরি করলাম এবং ফসলি জমিগুলো পরিবর্তন করে দিলাম। অকৃতজ্ঞ ও অহংকারী ছাড়া এমন শাস্তি আমি কাউকে দিই না।
তারপর প্রবল বন্যার পানি তৈরি করলাম এবং ফসলি জমিগুলো পরিবর্তন করে দিলাম। অকৃতজ্ঞ ও অহংকারী ছাড়া এমন শাস্তি আমি কাউকে দিই না।
সুরা বাকারা: ১৪৮
নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রতিটি বস্তুর ওপর (অর্থাৎ আরশ, পঙ্গপাল কিংবা ভাইরাস) সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান, সবই তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন।
নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রতিটি বস্তুর ওপর (অর্থাৎ আরশ, পঙ্গপাল কিংবা ভাইরাস) সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান, সবই তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন।
সুরা বাকারা: ১৫৫
আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে কিছু ভয়, ক্ষুধা, জান-মালের ক্ষতি এবং ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে পরীক্ষা করব। তবে তুমি ধৈর্যশীলদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও।
আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে কিছু ভয়, ক্ষুধা, জান-মালের ক্ষতি এবং ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে পরীক্ষা করব। তবে তুমি ধৈর্যশীলদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও।
সুরা সাফফাত: ১৭৩
আর আমার বাহিনীই হয় বিজয়ী (আমার পরিকল্পনা পূর্ণ করে)।
আর আমার বাহিনীই হয় বিজয়ী (আমার পরিকল্পনা পূর্ণ করে)।
সুরা আল আন’আম: ৪৪-৪৫
অতঃপর যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের উপদেশ এবং দিক-নির্দেশনা দেওয়া হলো, তারা তা ভুলে গেল (আল্লাহর কথাকে তুচ্ছ ভেবে প্রত্যাখ্যান করল) তাদের এই সীমালঙ্ঘনের পর আমি তাদের জন্যে প্রতিটি কল্যাণকর বস্তুর দরজা খুলে দিলাম অর্থাৎ তাদের জন্যে ভোগ বিলাসিতা, খাদ্য সরঞ্জাম, প্রত্যেক সেক্টরে সফলতা, উন্নতি এবং উন্নয়ন বৃদ্ধির দরজাসমূহ খুলে দিলাম। শেষ পর্যন্ত যখন তারা আমার দানকৃত কল্যাণকর বস্তুসমূহ পাওয়ার পর আনন্দিত, উল্লসিত এবং গর্বিত হয়ে উঠল, তারপর হঠাৎ একদিন আমি সমস্ত কল্যাণকর বস্তুর দরজাসমূহ বা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার দরজাসমূহ বন্ধ করে দিলাম । আর তারা সেই অবস্থায় হতাশ হয়ে পড়ল। তারপর এই অত্যাচারী সম্প্রদায়ের মূল শিকড় কর্তিত হয়ে গেল এবং সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্যেই রইল, যিনি বিশ্বজগতের কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালনকারী বা সবকিছুর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণকারী ‘রব’।
অতঃপর যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের উপদেশ এবং দিক-নির্দেশনা দেওয়া হলো, তারা তা ভুলে গেল (আল্লাহর কথাকে তুচ্ছ ভেবে প্রত্যাখ্যান করল) তাদের এই সীমালঙ্ঘনের পর আমি তাদের জন্যে প্রতিটি কল্যাণকর বস্তুর দরজা খুলে দিলাম অর্থাৎ তাদের জন্যে ভোগ বিলাসিতা, খাদ্য সরঞ্জাম, প্রত্যেক সেক্টরে সফলতা, উন্নতি এবং উন্নয়ন বৃদ্ধির দরজাসমূহ খুলে দিলাম। শেষ পর্যন্ত যখন তারা আমার দানকৃত কল্যাণকর বস্তুসমূহ পাওয়ার পর আনন্দিত, উল্লসিত এবং গর্বিত হয়ে উঠল, তারপর হঠাৎ একদিন আমি সমস্ত কল্যাণকর বস্তুর দরজাসমূহ বা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার দরজাসমূহ বন্ধ করে দিলাম । আর তারা সেই অবস্থায় হতাশ হয়ে পড়ল। তারপর এই অত্যাচারী সম্প্রদায়ের মূল শিকড় কর্তিত হয়ে গেল এবং সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্যেই রইল, যিনি বিশ্বজগতের কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালনকারী বা সবকিছুর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণকারী ‘রব’।
সুরা ত্বাহা: ১৪
নিশ্চয়ই আমিই হলাম ‘আল্লাহ’। অতএব আমার আইনের অধীনে থাকো।
নিশ্চয়ই আমিই হলাম ‘আল্লাহ’। অতএব আমার আইনের অধীনে থাকো।
সুরা মুলক: ১৬-১৭
তোমরা কী ভাবনা মুক্ত হয়ে গিয়েছে যে, আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমাদেরসহ ভূমিকে ধসিয়ে দেবেন না? অথবা তোমাদের ভূগর্ভের বিলীন করে দেবেন না? এমন অবস্থায় যে ভূভাগ তথা জমিন (আল্লাহর নির্দেশে) আকস্মিকভাবে থরথর করে কাঁপতে থাকবে বা ভূমিকম্পকে চলমান করে দেয়া হবে।
তোমরা কী ভাবনা মুক্ত হয়ে গিয়েছে যে, আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমাদেরসহ ভূমিকে ধসিয়ে দেবেন না? অথবা তোমাদের ভূগর্ভের বিলীন করে দেবেন না? এমন অবস্থায় যে ভূভাগ তথা জমিন (আল্লাহর নির্দেশে) আকস্মিকভাবে থরথর করে কাঁপতে থাকবে বা ভূমিকম্পকে চলমান করে দেয়া হবে।
নাকি তোমরা ভাবনামুক্ত হয়ে গিয়েছ যে, আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমাদের ওপর কংকরবর্ষী ঝঞ্ঝা-বৃষ্টি কিংবা প্রস্তর-বৃষ্টি বর্ষণ করার হুকুম দেবেন না? (যদি আমি এমন করার হুকুম করি) তখন তোমরা জানতে পারবে বা উপলব্ধি করবে, কেমন ছিল আমার সতর্কবাণীর পথ-নির্দেশ।
সুরা আল আ’রাফ: ১৩০
তারপর আমি ফেরাউনের অনুসারীদেরকে কয়েক বছর পর্যন্ত দুর্ভিক্ষে রেখেছিলাম এবং অজন্ম ও ফসলহানি দ্বারা বিপন্ন করেছিলাম। (সঙ্কটাপন্ন এবং বিপদগ্রস্ত অবস্থায় রেখেছিলাম) উদ্দেশ্য ছিল, তারা হয়তো আমার পথ-নির্দেশ গ্রহণ করবে এবং আমার প্রতি বিশ্বাস আনয়ন করবে আনবে। (আমার আধিপত্য স্বীকার করে নেবে)
তারপর আমি ফেরাউনের অনুসারীদেরকে কয়েক বছর পর্যন্ত দুর্ভিক্ষে রেখেছিলাম এবং অজন্ম ও ফসলহানি দ্বারা বিপন্ন করেছিলাম। (সঙ্কটাপন্ন এবং বিপদগ্রস্ত অবস্থায় রেখেছিলাম) উদ্দেশ্য ছিল, তারা হয়তো আমার পথ-নির্দেশ গ্রহণ করবে এবং আমার প্রতি বিশ্বাস আনয়ন করবে আনবে। (আমার আধিপত্য স্বীকার করে নেবে)
সুরা আল আ’রাফ: ৯৭-৯৮
জনপদের অধিবাসীরা কী ভাবনামুক্ত হয়ে গিয়েছে সেই আল্লাহর বিষয়ে যে, তিনি তাদের ওপর ঘুমন্ত অবস্থায় শাস্তি পাঠাবেন না? যে শাস্তি তাদের গ্রাস করে ফেলবে! নাকি জনপদের অধিবাসীরা চিন্তামুক্ত হয়ে গিয়েছে এই বিষয়ে যে, আমি তাদের ওপর শাস্তি পাঠাব না, এমন অবস্থায় যে যখন তারা আমোদ-প্রমোদে লিপ্ত ছিল?
জনপদের অধিবাসীরা কী ভাবনামুক্ত হয়ে গিয়েছে সেই আল্লাহর বিষয়ে যে, তিনি তাদের ওপর ঘুমন্ত অবস্থায় শাস্তি পাঠাবেন না? যে শাস্তি তাদের গ্রাস করে ফেলবে! নাকি জনপদের অধিবাসীরা চিন্তামুক্ত হয়ে গিয়েছে এই বিষয়ে যে, আমি তাদের ওপর শাস্তি পাঠাব না, এমন অবস্থায় যে যখন তারা আমোদ-প্রমোদে লিপ্ত ছিল?
সুরা ফাজর: ৬-১৪
আপনি কী দেখেননি, আপনার ‘রব’ আদ বংশের ইরাম গোত্রের সাথে কি আচরণ করেছিল? যাদের দৈহিক গঠন ছিল, স্তম্ভ এবং খুঁটির ন্যায় দীর্ঘ এবং তাদের এত শক্তি ও বলবীর দেয়া হয়েছিল যে, সারা বিশ্বের শহরসমূহে অন্য কোনো মানবগোষ্ঠীকে দেয়া হয়নি। এবং সামুদ গোত্রকে যারা উপত্যকায় পাথর কেটে গৃহ নির্মাণ করত এবং বহু সৈন্যবাহিনীর অধিপতি ফেরাউনের সাথে, যারা দেশের সীমাসমূহ লঙ্গন করেছিল। অতঃপর সেখানে বিস্তর অশান্তি সৃষ্টি করেছিল। তারপর আপনার ‘রব’ তাদের ওপর শাস্তির কশাঘাত করলেন। নিশ্চয়ই আপনার ‘রব’ প্রতিটি বিষয়ের ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখেন।
সুরা আল ইমরান: ১৭৮
আমি জালিমদের সুযোগ দেই বা বেঁচে থাকার সময় দেই, তাদের পাপকে পাকাপোক্ত করার জন্য।