সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী পরম করুণাময় মহান আল্লাহর নিকট তাঁর বান্দাগণ নামাজের মাধ্যমে বা বিভিন্ন সময় দোয়া করেন। কারণ আল্লাহ ছাড়া কেউ সমস্যার সমাধান করতে পারে না। তবে জেনে রাখা উচিৎ দোয়া কবুল হওয়ার শর্তগুলো কি কি। যাতে দোয়াটি মহান আল্লাহ্র কাছে দোয়া কবুল হয়।
দোয়া কবুলের শর্তগুলো নিম্নরুপ উল্লেখ করা হলো:
> আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কাউকে না ডাকা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইবনে আব্বাস (রা:) কে উদ্দেশ করে বলেন, যখন প্রার্থনা করবে তখন শুধু আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা করবে। যখন সাহায্য চাইবে তখন শুধু আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবে। {সুনানে তিরমিযি (২৫১৬)}
> শরিয়ত অনুমোদিত কোনো একটি মাধ্যম দিয়ে আল্লাহর কাছে ওসিলা দেয়া।
> দোয়ার ফলাফল প্রাপ্তিতে তাড়াহুড়া না করা। তাড়াহুড়া দোয়া কবুলের ক্ষেত্রে বড় বাধা। হাদিসে বলা হয়েছে, তোমাদের কারো দোয়া ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল হয় যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তাড়াহুড়া করে বলে যে; আমি দোয়া করেছি কিন্তু আমার দোয়া কবুল হয়নি। {সহিহ বুখারী (৬৩৪০)}
> দোয়ার মধ্যে পাপের কিছু না থাকা। আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা নিয়ে দোয়া না করা।
> দোয়াতে মনোযোগ থাকা। দোয়াকালে দোয়াকারীর মনোযোগ থাকবে এবং যার কাছে প্রার্থনা করা হচ্ছে তার মহত্ত্ব অন্তরে জাগ্রত রাখবে।
> খাদ্য পবিত্র (হালাল) হওয়া। আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন, আল্লাহ্ তো কেবল মুত্তাকীদের থেকেই কবুল করেন। {সূরা মায়েদা, আয়াত: ২৭}। এ কারণে যে ব্যক্তির পানাহার ও পরিধেয় হারাম সে ব্যক্তির দোয়া কবুল হওয়াকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুদূরপরাহত বিবেচনা করেছেন।
> দোয়ার ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন না করা। কেননা আল্লাহ্ তাআলা দোয়ার মধ্যে সীমালঙ্ঘন করাটা অপছন্দ করেন।
> ফরয আমল বাদ দিয়ে দোয়াতে মশগুল না হওয়া। যেমন ফরয নামাযের ওয়াক্তে ফরয নামায বাদ দিয়ে দোয়া করা কিংবা দোয়া করতে গিয়ে মাতাপিতার অধিকার ক্ষুণ্ণ করা।