বাংলা ভাষায় একটি প্রবাদ রয়েছে আম-ছালা দুটোই নাকি গেলো। ভারতের অবস্থাও এখন ঠিক তেমনি। স্বৈরাচার হাসিনার জন্য মোদি সরকার বাংলাদেশে ভিসা কার্যক্রম স্থগিত রেখেছিলো। তারা চেয়েছিলো বাংলাদেশকে কোণঠাসা করে রাখতে। তবে তা আর হলো না, বাংলাদেশ এই সুযোগে মিলে গেছে চীনের সাথে। ভারতের চেয়েও শতগুনে ভালো চায়নার চিকিৎসা ব্যবস্থা। ইতিমধ্যে বাংলাদেশিদের জন্য স্পেশাল হাসপাতালও নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে চীন সরকার। আর এতেই কপালে হাত মোদি সরকারের। বাংলাদেশি রোগীদের থেকে বছরে ৫ হাজার কোটি রুপিরও বেশি আয় হত ভারতের। যা এখন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে।
বাংলাদেশি রোগী না থাকায় ভারতের অনেক নামি-দামি হাসপাতালগুলো বন্ধের দ্বারপ্রান্তে। সেদেশের হাসপাতাল, ক্লিনিক ব্যবসায়ীরা এখন দুষছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। কট্টর হিন্দুত্ববাদি মোদি বোধহয় ভুলে গিয়েছিলো বাংলাদেশটা চালায় একজন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ। তার মাস্টারপ্ল্যানের কাছে ভারতের এসব পরিকল্পনা অপরিপক্কও বটে। ইতিমধ্যে ১০ মার্চ চীনে গিয়েছে বাংলাদেশ থেকে ১৪ জন রোগী। তাদের সাথে রয়েছেন পরিবারের সদস্য ছাড়াও চিকিৎসক ও সাংবাদিক। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিশ্বব্যাপী বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে চীনের। এবার কম খরচে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসার দ্বার উম্মেচন করলো বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী এই দেশটি। শুধু তাই নয় আমাদের দেশের রোগীদের জন্য বিমানের যাতায়ত ভাড়া এবং চায়নায় থাকা খাওয়ার খরচ কমানোরও উদ্যোগ নিয়েছে সেদেশের সরকার।
চীনের সাথে ভারতের সম্পর্ক এমনিতেও ভালো নেই। মাঝেমধ্যেই ওদের সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করে। আর ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে নিয়ে বাংলাদেশের সাথেও সম্পর্ক খারাপ করে এখন যেনো নিজের পায়েই কুড়াল মেরেছে ভারত। নিজ দেশের ব্যবসায়ীদেরও বড় হুমকির মুখে ফেলেছেন নরেন্দ্র মোদির সরকার।
সুত্র: দৈনিক ইনকিলাব
প্রকাশ:১৩/০৩/২০২৫