রমজান মাসে আল্লাহ’র সান্নিধ্য পেতে হবে যেভাবে


ইবাদাত হলো মানুষের আত্মিক ভারসাম্য এবং মানসিক প্রশান্তির কারণ। সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর নির্ভরতা মানুষকে জীবনের উত্থান-পতনের ক্ষেত্রে প্রতিরোধী এবং সচেতন করে তোলে। কিন্তু অনেকেই জানে না,এক আল্লাহর সাথে কেন সম্পর্ক রাখা উচিত এবং কেন তাঁর ইবাদাত করতে হবে?

রমজান মাসকে বলা হয়েছে, ‘শাহরুন মোবারকাহ’ বা বরকতময় মাস। রমজানকে মহান আল্লাহ নানা দিক থেকে বরকতময় করেছেন। কিন্তু অনেকেই তা জানে না বা তার আক্ষরিক জ্ঞান থাকলেও অনুধাবন করতে পারে না।

পৃথিবীতে উৎসব-আনন্দে বড় বড় কম্পানি অফার দেয়, রাজা-বাদশাহরা অধীনদের সন্তুষ্ট করার জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দেন। ঠিক তেমনি আহকামুল হাকিমিন আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রত্যেক রমজানে তাঁর সান্নিধ্য, নৈকট্য, পুণ্য ও জাগতিক জীবনে প্রাচুর্য অর্জনের অফার দিয়েছেন।

এই বরকত মোমিন জীবনময়। আল্লাহ এই পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন বান্দার প্রতি তাঁর ভালোবাসা থেকে। নতুবা তার কী অধিকার ছিল তা দাবি করার?

আল্লাহ তাআলার বরকতের নমুনা দেখুন! তিনি জাগতিক জীবনে মোমিনের রিজিক বাড়িয়ে দেন, সময়কে বরকতময় করেন এবং প্রতিটি আমলের পরকালীন প্রতিদান বাড়িয়ে দেন। শুধু বাড়ান না, ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেন। মুমিনের জীবনে এই বরকতের প্রভাবও লক্ষ্য করলে খুঁজে পাওয়া যায়।

হাদিস শরিফের ভাষ্য মতে, রমজানের প্রথমাংশ রহমত, দ্বিতীয়াংশ মাগফিরাত ও তৃতীয়াংশ নাজাত বা জাহান্নাম থেকে মুক্তির কথা বলা হয়েছে। এই তিনটি বিষয় যেমন ধারাবাহিক, তেমনি পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত।

একজন মানুষ আল্লাহর রহমত ছাড়া তার অভিমুখী হতে পারে না। সে যখন আল্লাহর রহমতে তাঁকে জানতে ও চিনতে পারে, তখন সে পেছনের জীবনের জন্য অনুতপ্ত হয় এবং আল্লাহর কাছে জাহান্নাম থেকে মুক্তি চায়।

আল্লাহ বলছেন, তোমাকে আমি রমজান দান করলাম। তুমি আমার দিকে অগ্রসর হয়ে দেখো, আমি তোমার জন্য রমজানে কী অবারিত দান, অনুগ্রহ ও কল্যাণ রেখেছি। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাঁর অনুগ্রহ লাভের তাওফিক দিন। আমিন।

Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post