কারবালার শিক্ষা

আল্লাহ ও রাসূল প্রেমিক মু’মিনের জন্য কারবালার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও স্মরণীয় ঘটনা। আরবী বর্ষপরিক্রমার প্রথম মাস মহররম। এ মাসের দশ তারিখ মহানবী (সা.)-এর ওফাতের ৫০ বছর পর ৬১ হিজরীতে সংঘটিত হয় এ মর্মান্তিক ঘটনা।
সত্য ও ন্যায়ের দিক নির্দেশনা : ইমাম হোসাইন (রা.) কারবালার ময়দানে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে ইসলামের বাগানকে উর্বর করে গেছেন। সেই কারবালার ময়দানকে কেন্দ্র করে মু’মিনদের উদ্দেশ্যে আল্লামা ইকবাল বলেছেন ‘নকশে ইল্লাল্লাহা বার সাহারা নবীস/সাত্রে উনুয়া সে নাজাতে মা নবীস’ ইমাম হোসাইন (রা.) ৬১ হিজরীর ১০ মহররম কারবালার ময়দানে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’র তৌহিদী নকশা এঁকেছেন। সে নকশা আঁকার জন্য হোসাইনের কাছে কোনো কাগজ ছিল না, কারবালার জমিনকে তিনি কাগজ বানিয়েছেন। তাঁর হাতে সেদিন লেখার কোনো কলম ছিল না, নিজের কলবকে কলম বানিয়েছেন, তাঁর হাতে কালি ছিল না, নিজের বুকের তাজা রক্তকে কালি বানিয়ে এমন এক নকশা অঙ্কন করেছেন যা সত্য ও ন্যায়ের অনুসারীদের দিকনির্দেশনা ও অনুপ্রেরণা, আর অনাগত মুসলমানদের মনজিলে মাকসুদে পৌঁছার আলোকবর্তিকা।
ব্যতিক্রমী যুদ্ধ : ইসলামের ইতিহাসে সংঘটিত অপরাপর যুদ্ধের সঙ্গে কারবালার যুদ্ধের পার্থক্য এই যে এটি সংঘটিত হয়েছে ন্যায় ও সত্যবাদী মুসলমানদের সঙ্গে পাপাচারী ও বাতেল মেকি মুসলমানদের মধ্যে। সেদিন কারবালায় ২২ হাজার দুনিয়ালোভী ইয়াজিদি সৈন্য যারা অস্ত্রসজ্জার পাশাপাশি দাড়ি, টুপি, পাগড়ি ও জুব্বার সুন্নতি (?) লেবাস ধারণ করেছিল, আজান-ইকামত ও নামাযের মহড়া দিয়েছিল, তাদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সায়্যিদুশ শোহাদা ইমাম হোসাইন (রা.) প্রশ্ন রেখেছিলেন : শোন! আলাম তাসমাউ আ’লাইকুম ফি মুসলিম- তোমাদের মধ্যে কি একজনও মুসলমান নেই? জান্নাতে যুবকদের সর্দার ইমাম হোসাইনের সামনে দাঁড়ানো, ২২ হাজার সৈন্যের একজনও নিঃসংকোচে বলতে পারেনি- আমি মুসলমান। বলতে না পারার পেছনে বড় কারণ হল, তারা ছিল ভ- ও নকল মুসলমান। এ ধরনের মুনাফেকি ও ভেল্কিবাজি মুসলমানদের ব্যাপারে কুরআন মজিদে বলা হয়েছে- আরবগণ বলে, আমরা মুমিন। বলে দাও তোমরা মুমিন নও, বরং তোমরা বল, আমরা বশ্যতা স্বীকার করেছি। আসলে তোমাদের হৃদয়ে ঈমান প্রবেশ করেনি (সূরা আল-হুজুরাত : ১৪)।
শ্রেষ্ঠ উত্তরসূরী : ইমাম হোসাইন (রা.)- এর অন্যায়ের বিরুদ্ধে দুর্বার সংগ্রাম ও প্রতিবাদ স্মরণ করিয়ে দেয় বদর, উহুদ ও খন্দকের ইতিহাস। যেমন সংগ্রামী ছিলেন সাহাবায়ে কেরাম। দ্বীনকে বিজয়ী করতে কেমন ইস্পাত কঠিন মনের অধিকারী ছিলেন তাঁরা। যাদের সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন- তাঁরা ফুরসানুন নাহার, রুহবানুল লাইল- দিনে সৈনিক, রাতে দরবেশ। সেই মহাবীর সাহাবায়ে কেরামের শ্রেষ্ঠ উত্তরসুরী, সত্যের কা-ারী, দুর্বার সেনা নায়ক ছিলেন ইমাম হোসাইন (রা.)।
কারবালায় মূলত ইয়াজিদের মৃত্যু হয়েছে : দুনিয়ার মানুষগুলো দু’ভাগে বিভক্ত। একভাগ দ্বীনের পক্ষে, আরেকভাগ দ্বীনের বিপক্ষে। দ্বীনের পক্ষে যাদের অবস্থান তারাই জীবিত, স্মরণীয়, বরণীয় ও ইতিহাস বিখ্যাত। পক্ষান্তরে, দ্বীনের বিপক্ষে যাদের অবস্থান তারা ইতিহাস কুক্ষাত। পৃথিবীতে নবী-রাসূল, আউলিয়ায়ে কেরাম এবং মু’মিনদের ইতিহাস বিখ্যাত হয়ে আছে। আর নমরূদ, ফেরাউন, কারুন, শাদ্দাদ, হামান প্রমুখ ইতিহাস কুক্ষাত হয়ে আছে। মাওলানা মুহাম্মদ আলী জওহার চমৎকার করে বলেছেন- ‘কতলে হুসাইন আসল মে মরগ্যায়ে ইয়াজিদ হ্যায়/ইসলাম জিন্দা হোতা হ্যায় হ্যর কারবালা কি বা’দ’ হোসাইন কি কারবালার প্রান্তরে নিহত হয়েছেন? না, নিহত হয়েছে স্বৈরাচারী ইয়াজিদ। ইয়াজিদ নামটি পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় নিয়েছে আর কারবালার ঘটনার পর খাঁটি মু’মিন নতুন প্রাণ লাভ করেছে।
ইয়াজিদ বাহিনীর নিষ্ঠুরতা : ইসলামী সৈন্য সংখ্যা ৭২ থেকে ১১০ জনের মধ্যে কয়েকজন ছিল নওজোয়ান বাকীরা বৃদ্ধ, শিশু ও নারী। তাঁরা একে একে ময়দানে অবতীর্ণ হলেন। আর বীর বিক্রমে লড়াই করে অসংখ্য শত্রুদের জমালয়ে পাঠিয়ে দেন। অবশেষে নিজেরাও শাহাদাত বরণ করেন। ইয়াজিদ বাহিনী কারবালার ফোরাত নদীর পানি দখল করে রাখে, যাতে ক্ষুধা ও পিপাসায় ইমাম হোসাইন (রা.) ও তাঁর স্ত্রী-সন্তান এবং সাথীরা কষ্ট পায়। যুদ্ধ চলাকালে তাবু থেকে শিশুর ক্রন্দন শুনে ইমাম ফিরে এসে দেখলেন ছয় মাসের দুগ্ধপোষ্য আলী আসগর তীব্র পিপাসায় ও ক্ষুধার জ্বালায় কাঁদছে। তিনি শিশু পুত্রকে হাতে তুলে নিয়ে শত্রুদের একটু পানি দিতে বললেন। এ সুযোগে ইয়াজিদের সেনাপতি ওমর বিন সাদের নির্দেশে হুরমূলা নামের পাষ- তীর ছুড়ে, শিশু আসগরের গর্দান পিতা হোসাইনের বাহু ভেদ করে তীরটা বেরিয়ে যায়। শিশু আসগর পিতার কোলেই শহীদ হন। দুশমনরা তাঁকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। বৃষ্টির মত বর্ষিত হতে থাকে তীর, বল্লম, নেজা ইত্যাদি। অবশেষে অসংখ্য আঘাত ও জখমপ্রাপ্ত হয়ে ইমাম হোসাইন (রা.) অশ্বপৃষ্ঠ থেকে জমিনে পড়ে যান। পাষ- সীমার এসে ইমামের মস্তক মোবারক দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। পবিত্র আহলে বায়াতের তাঁবু লুণ্ঠিত হয়। দলিত, মথিত করা হল শহীদের লাশ। আর এভাবেই ইয়াজিদ বাহিনী হজরত ইমাম হোসাইনের ছেলেমেয়ে, পরিবার-পরিজন ও ক্ষুদ্রসংখ্যক ইসলামী বাহিনীকে ঘেরাও করে নির্মমভাবে হত্যা করে। তাঁর কাছে যা ছিল সবই খুলে ফেলা হয়। এমনকি তাঁর লাশ থেকে কাপড়ও খুলে ফেলা হয়। পরে তাঁকে ঘোড়ার পায়ে পিষ্ঠ করা হয়, মহিলাদের গায়ের চাদরও ছিনিয়ে নেয়া হয়। হজরত হোসাইন (রা.) ও অন্যান্য শহীদদের পবিত্র মস্তক বিচ্ছিন্ন করে কুফায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং প্রকাশ্যে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়।
দশ-ই মহররমে সংঘঠিত ঘটনা : দশ-ই মহররমে ঘটেছে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা। যেমন- ১. মানবজাতির আদি পিতা হযরত আদম (আ.) কে প্রতিনিধি হিসেবে সৃষ্টি, জান্নাতে অবস্থান, পৃথিবীতে প্রেরণ ও তাওবা কবুল সবই দশ-ই মহররম সংঘটিত হয়। ২. হযরত নূহ (আ.) এর নৌকা ৪০ দিন পর জুদি পাহাড়ের পাদদেশে মাটি স্পর্শ করে ঐতিহাসিক দশ-ই মহররমে। ৩. এ দিনেই হযরত ইব্রাহিম (আ.) এর জন্ম, ‘খলিলুল্লাহ’ উপাধিতে ভূষিত ও নমরুদের অগ্নি থেকে রক্ষা পান। ৪. হযরত ইদ্রিস (আ.) কে বিশেষ মর্যাদায় চতুর্থ আসমানে উঠিয়ে নেয়া হয় এ দিনে। ৫. দীর্ঘ ৪০ বছর পর হযরত ইউসুফ (আ.) এর সাথে তার পিতা ইয়াকুব (আ.) এর সাক্ষাৎ যেদিন হয় সে দিনটি ছিল এ দিনে। ৬. নবী আইয়ুব (আ.) দীর্ঘ ১৮ বছর কুষ্ঠরোগ ভোগ করার পর আরোগ্য লাভ করেছিলেন এ দিনে। ৭. ইউনূস (আ.) ৪০ দিন মাছের পেটে থাকার পর মুক্তিলাভ করেন এ দিনে। ৮. হযরত সুলায়মান (আ.) সাময়িক রাজত্বহারা হন। আল্লাহ তা’য়ালা তাঁকে আবার রাজত্ব ফিরিয়ে দেন এ দিনে। ৯. আল্লাহ তায়ালা হযরত মুসা (আ.) ও তাঁর অনুসারী বনি ইসরাঈলদেরকে ফেরাউনের অত্যাচার থেকে মুক্ত করে পানির মধ্যে রাস্তা তৈরি করে দিয়ে পার করে দেন এবং ফেরাউনকে তার দলবলসহ সাগরে ডুবিয়ে মারেন এ দিনে। হযরত মুসা (আ.) তুর পাহাড়ে আল্লাহর সাথে কথা বলেছিলেন দশ-ই মহররমে। ১০. এ দিনে হযরত ঈসা (আ.) এর জন্ম হয় এবং ইহুদিরা তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করলে আল্লাহ তায়ালা তাঁকে ফেরেশতা কর্তৃক সশরীরে আসমানে উঠিয়ে নেন এ দিনেই। ১১. আশুরার দিবসেই মহানবী (সা.)-এর পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ত্রুটিবিচ্যুতি ক্ষমা করে দেয়া হয়। ১২. পবিত্র কাবা শরিফে সর্বপ্রথম গিলাফ দ্বারা আবৃত করা হয়েছিল এ দিনে। ১৩. আশুরার দিনেই আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেছেন- আকাশমালা, মর্তজগৎ, পর্বতরাজি, লওহ-কলম ও ফেরেশতাগণ। ১৪. আশুরার দিনে আল্লাহ তায়ালা নিজ আরশে আজিমে অধিষ্ঠিত হন। ১৫. আকাশ থেকে প্রথম বৃষ্টিপাত হয় এ দিনেই। ১৬. কিয়ামত সংঘটিত হবে মহররম মাসের ১০ তারিখ জুমার দিন। ১৭. এ দিনে (নারীরা ছাড়া) স্বপরিবারে শহীদ হন বিশ্ব নবী (সা.)-এর প্রিয় নাতী ইমাম হোসাইন (রা.)।
শিক্ষা : ১. কারবালায় মূলত বাতিলের পরাজয় এবং সত্য ও হকপন্থীদের বিজয় ও মুক্তি সূচিত হয়েছে। ২. নবী ও তাঁদের অনুসারীগণের ইতিহাস স্মরণপূর্বক আল্লাহর বিধান পালন ও বাস্তবায়নে অবিচলতা, দৃঢ়তা ও আল্লাহর প্রতি নির্ভরতা যদি যথার্থমানের হয়, তাহলে এখনো আল্লাহ তা’য়ালা পৃথিবীর সব বাতিল শক্তির মোকাবিলায় মুসলিমদের বিজয়ী করবেন। ৩. ঈমান-আকিদাবিরোধী সব কার্যকলাপ বন্ধ করতে সচেষ্ট হতে হবে। ৪. মুসলিম নামধারী হয়েও যারা ইয়াজিদ, ইবনে জিয়াদ ও সিমারের ভূমিকা পালন করছে তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। ৫. ইসলাম সম্পর্কে যারা ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করে তাদেরকে সঠিক ধারণা প্রদান করতে হবে এবং ইসলামের সুমহান আদর্শের দিকে সকলকে আহ্বান জানাতে হবে। এ ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে নিজেদের কুরআন-হাদীস ও ইসলামী সাহিত্য নিয়মিত অধ্যয়ন ও চর্চার মাধ্যমে ইসলামের যথার্থ জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে। ৬. সত্য ও ন্যায়কে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে বাতিলের মোকাবিলায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে। ৭. আল্লাহর সন্তুষ্টি ও দ্বীন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সব কাজে ত্যাগ এবং কোরবানির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ৮. সুযোগ থাকার পরও যেমন হুসাইন (রা.)-এর সাথীরা তাকে ছেড়ে না গিয়ে তার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে সাথে থেকেছেন তেমনি আমাদেরও উচিত সত্যপন্থীদের সমর্থন, সহযোগিতা ও সাথে থাকা। ৯. ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে সার্বিক সফলতা অর্জনের জন্য নিজেরা নেক আমল করতে হবে, সর্বপর্যায়ে আল্লাহর হুকুম-আহকাম এবং খোদাভীরু নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত শপথ গ্রহণ করতে হবে, অন্যায়ের কাছে মাথা নত করা যাবে না। ১০. সত্য ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনে জীবন দিতে হবে। কারণ, ইমাম হোসাইন (রা.) জীবন দিয়েছেন সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য।
আশুরা নামের তাৎপর্য : দশ-ই মহররমকে আশুরাও বলা হয়। আশুরা শব্দটির তাৎপর্য এভাবে বর্ণিত হয়েছে- ‘আশুরা’ শব্দটি ছিল ‘আশানুরা’ অর্থাৎ যে ব্যক্তি এ মহান দিনের মর্যাদা রক্ষা করবে সে নূরানি জীবন লাভ করবে। অত:পর ‘আশানুরা’র ‘নুন’ অক্ষরটি বাদ দিয়ে বাক্যটি সহজ করে ‘আশারা’ বা ‘আশুরা’ করা হয়। কারো কারো মতে, এ দিনে আল্লাহ পাক ১০ জন পয়গম্বরকে তাঁর ১০টি অনুগ্রহ ও বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন বলে এদিনকে ‘আশুরা’ বলা হয়।
আমল : আশুরার দিনে নির্দিষ্ট কোন আমল নেই, তবে হাদীস শরীফে দশ-ই মহররম রোজা পালনের বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রমযানের রোজার পরে আল্লাহর নিকট মহররম মাসের রোজা ফজিলতের দিক দিয়ে শ্রেষ্ঠতম’ (সহি মুসলিম : ১/৩৮৮। মহানবী (সা.) আরো বলেন, ‘আমি আল্লাহর দরবারে আশা রাখি যেন ‘আশুরা’র রোজা আল্লাহর নিকট পূর্ববর্তী বছরের গুনাহের কাফফারাস্বরূপ গণ্য হয়’ (তিরমিযী- ১৩২, ইবনে মাজাহ-১২৪। সহি বুখারী ও মুসলিম শরীফে সালামাহ ইবনে আকওয়া (রা.) হতে বর্ণিত আছে, মহানবী (সা.) বনি আসলাম গোত্রের এক লোককে নির্দেশ দিলেন সে যেন লোকদের মাঝে এ ঘোষণা করে দেয়, যে আজ সকালে খেয়েছে সে যেন দিবসের বাকি অংশ রোজ পালন করে, আর যে ব্যক্তি কিছু খায়নি সে যেন রোজা রাখে। কেননা, আজকের এ দিন আশুরার দিন। আশুরার দিনে যেহেতু ইহুদিরাও রোজা রাখে তাই তাদের সাথে পার্থক্য করার জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আশুরার দিনে রোজা রাখো এবং এর আগে এক দিন অথবা পরে একদিন রোজ রেখে ইহুদিদের বিরুদ্ধাচরণ করো।’

Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post