ইসলামবিষয়ক প্রশ্নের উত্তর

প্রশ্ন : নামাজে হাত, পা ও চোখ কখন কী অবস্থায় রাখতে হয়? বিস্তারিত জানতে চাই।
জাফরুল আলম রকি, চকবাজার, ঢাকা
উত্তর : নামাজে হাত, পা ও চোখের অবস্থা হাদিসের আলোকে এ রকম- দাঁড়ানো অবস্থায় অঙ্গগুলোর অবস্থান
১. দু’পায়ের আঙুলগুলো কিবলামুখী করে রাখা এবং উভয় পায়ের মাঝে চার আঙুল বা আধা হাত ফাঁকা রাখা। কারও শরীর বেশি মোটা হলে এর বেশিও ফাঁকা রাখা যাবে। [নাসায়ি শরিফ, হাদিস : ৮৯২; হিন্দিয়া, খণ্ড : ১, পৃষ্ঠা : ৭৩]
২. তাকবিরে তাহরিমা বা শুরুর আল্লাহু আকবর বলার সময় চেহারা কিবলার দিকে রেখে দৃষ্টি সিজদার জায়গায় রাখা। হাত উঠানোর সময় মাথা না ঝুঁকানো। [তিরমিজি শরিফ, হাদিস : ৩০৪; মুস্তাদরাক, হাদিস : ১৭৬১]
৩. উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠানো। এ সময় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি কানের লতি পর্যন্ত উঠালেই হয়, কানে হাত লাগানো জরুরি নয়। [মুসলিম শরিফ, হাদিস : ৩৯১]
৪. হাত উঠানোর সময় আঙুলগুলো ও হাতের তালু কিবলামুখী করে রাখা। [তাবরানি আওসাত, হাদিস : ৭৮০১]
৫. আঙুলগুলো স্বাভাবিকভাবে রাখা। একেবারে মিলিয়ে বা একেবারে ফাঁকা করে না রাখা। [মুস্তাদরাক, হাদিস : ৮৫৬]
৬. হাত বাঁধার সময় ডান হাতের তালু বাম হাতের পিঠ বা পাতার ওপর রাখা। [আবু দাউদ শরিফ, হাদিস : ৭২৬]
৭. ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও কনিষ্ঠাঙ্গুলি গোলাকার বৃত্ত বানিয়ে বাম হাতের কব্জি ধরা। [তিরমিজি শরিফ, হাদিস : ২৫২]
৮. অবশিষ্ট তিন আঙুল বাম হাতের ওপর স্বাভাবিকভাবে রাখা। [ফাতহুল কাদির, খণ্ড : ১, পৃষ্ঠা : ২৫০]
৯. নাভির নিচে হাত বাঁধা। সাস্থ্য বেশি মোটা হলে স্বাভাবিকভাবে ছেড়ে দেয়া, যেখানে গিয়ে থামে।
[আবু দাউদ, হাদিস : ৭৬৫; হিন্দিয়া, খণ্ড : ১, পৃষ্ঠা : ৭৩] হ
মুফতি আহসান শরিফ : প্রিন্সিপাল, মাদ্রাসাতুল বালাগ ঢাকা।

Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post