আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য। ইবাদত কী? ইবাদতের প্রথম শর্ত হলো ইমান। আল্লাহর একাত্মবাদে বিশ্বাস করা। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় মানা ও অন্তরে বিশ্বাস করা এবং রসুল (সা.)-এর আদর্শ মেনে জীবন পরিচালনা করা।
পরবর্তী আয়াতে বলা হয়েছে, ‘যারা নামাজ প্রতিষ্ঠা করে এবং তাদের অর্থ, সম্পদ থেকে তারা তা আল্লাহর পথেই ব্যয় করে। ’ (সুরা আনফাল-৩)।
আমলে সালেহ বলতে কী বুঝি? আমলে সালেহ হলো আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের জন্য কোরআনে যেসব নেক আমল সহিহ ও শুদ্ধভাবে পালন করার জন্য বলেছেন এবং পাশাপাশি রসুল (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণের তাগিদ দিয়েছেন, সেটাই হলো আমলে সালেহ। অর্থাৎ আল্লাহর কাছে যে আমল গ্রহণীয় এবং সঠিক পদ্ধতিতে যা আমল করা হয়। আমরা যদি নেকি হাসিলের জন্য মনগড়া পদ্ধতিতে শুধু আমল করি তাহলে তা নেকির পরিবর্তে গুনাহ হাসিলের আশঙ্কাই বেশি। তাই আমাদের নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, দান-সদকা সব আল্লাহ ও রসুলের আদেশ-নিষেধ মেনে করতে হবে। তাহলেই তা হবে নেকি হাসিলের সহজ পথ।
আমাদের মনে রাখতে হবে, ইমান হচ্ছে আল্লাহ রব্বুল আলামিনের দেওয়া বুনিয়াদি বিধিবিধানের ওপর পরিপূর্ণভাবে বিশ্বাস স্থাপন করা আর আমলে সালেহ হচ্ছে সেই বিধানাবলি অনুসারে আমল করা ও এগুলোর বাস্তবায়ন করা। সুরা আল আসরে আল্লাহ বলেন, ‘প্রকৃতই মানুষ ক্ষতিগ্রস্ততার মাঝে নিমজ্জিত, কিন্তু তারা ছাড়া, যারা ইমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে। ’ (আয়াত ২-৩)।
ইসলামবিষয়ক গবেষক ও চিন্তাবিদদের মতে, যে উত্তম বিষয়গুলো সঠিকভাবে পালন করলে আমলে সালেহর অন্তর্ভুক্ত তা হলো ১. আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক না করা ২. সঠিকভাবে নামাজ আদায় করা ৩. রোজা পালন করা ৪. জাকাত দেওয়া ৫. আর্থিক সংগতি থাকলে আল্লাহর ঘর কাবায় হজ করা। সুতরাং জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি, আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা লাভ, দীনি শিক্ষা অর্জন করাই হলো আমলে সালেহর পূর্বশর্ত। বেশি বেশি নেক আমল বা সৎ কাজের মাধ্যমে আমরা আমাদের ইমান যদি মজবুত করতে পারি তাহলে আমলে সালেহর ভিত্তি হবে মজবুত ও দৃঢ়। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সেই তৌফিক দান করুন।
সুত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন
লেখক : মোঃআমিনুল ইসলাম
অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার