ইফতারের আগে যে দোয়া পড়লে মিলবে ক্ষমা

 সবচেয়ে বড় মৌসুম হলো রমজান। এ মাসে প্রতিটি আমলের প্রতিদান যেমন হাজার গুণ বেড়ে যায়, তেমনি একজন মুমিনের জন্য সব পাপ থেকে বেঁচে নিজেকে একজন মুত্তাকি হিসাবে গড়ে তোলারও সুবর্ণ সুযোগ হয়। সারা বছর আমাদের থেকে যে ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়, সেগুলোকে আল্লাহতায়ালার কাছ থেকে ক্ষমা করিয়ে নেওয়ার মোক্ষম একটা সুযোগ হলো রমজান। দোয়াও একটি স্বতন্ত্র ইবাদত।

দোয়া ইবাদতের মূল। দোয়া ছাড়া ইবাদত অসস্পূর্ণ থাকে। যেকোনো সময় যেকোনো দোয়া পড়া যায়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রসুল (সা.) আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন।

يَا وَاسِعَ الْمَغْفِرَةِ اِغْفِرْ لِيْ

উচ্চারণ: ইয়া ওয়াছেয়াল মাগফেরাতি ইগফির্‌লি।

অর্থ: হে মহান ক্ষমাকারী! আমাকে ক্ষমা করুন।

ইফতারের সময় এ দোয়া পড়বে-

اَللّٰهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلٰى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিজকিকা আফত্বারত্‌

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার জন্যেই রোজা রেখেছি এবং আপনার রিজিক দ্বারাই ইফতার করছি।

হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে আর বলে যে, আমি দোয়া করলাম, কিন্তু আমার দোয়া তো কবুল হলো না। (বুখারি ৬৩৪০)

হাদিসে এসেছে, হযরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, কোনো ব্যক্তি (আল্লাহর কাছে) কোনো কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা তাকে তা দান করেন। অথবা তদানুযায়ী তার থেকে কোনো অমঙ্গল প্রতিহত করেন। যতক্ষণ না সে কোনো পাপাচারে লিপ্ত হয় বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দোয়া করে। (তিরমিজি)

রসুল সা. বলেছেন, যদি কেউ চায় যে বিপদের সময় তার দোয়া কবুল হোক, তাহলে সে যেন সুখের দিনগুলোতে বেশি বেশি দোয়া করে (তিরমিজি ৩৩৮২)

সূত্র আরটিভি নিউজ

প্রকাশ:২৩/০৩/২০২৪

Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post