প্রতিবিধান কেন হবে : এত নেকি বা পুণ্য নিয়ে উপস্থিত হওয়ার পরও ব্যক্তি নিঃস্ব হয়ে যাবে। কেননা আল্লাহ ন্যায় প্রতিষ্ঠা ও জুলুমের অবসান ঘটানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আর কিয়ামতের দিনই চূড়ান্ত ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবে। আল্লাহ বলেন, ‘আজ প্রত্যেককে তার কৃতকর্মের ফল দেওয়া হবে। আজ কোনো জুলুম করা হবে না। আল্লাহ হিসাব গ্রহণে তৎপর।’ (সুরা : মুমিন, আয়াত : ১৭)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে অবিশ্বাসীরা, আজ তোমরা দায়মুক্তির চেষ্টা কোরো না। তোমরা যা করতে তোমাদের তারই প্রতিফল দেওয়া হবে।’ (সুরা : তাহরিম, আয়াত : ৭)
দায়মুক্তির উপায় : রাসুলুল্লাহ (সা.) যেমন মানুষের প্রতি অবিচার ও জুলুম করার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন, তেমনি তিনি জুলুম থেকে দায়মুক্তির উপায়ও বলে দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোনো বিষয়ে জুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ থেকে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে, যে দিন তার কোনো দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) বা দিরহাম (রৌপ্যমুদ্রা) থাকবে না। সে দিন তার কোনো সৎকর্ম না থাকলে তার জুলুমের পরিমাণ তা তার কাছ থেকে নেওয়া হবে আর তার কোনো সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৪৪৯)
আল্লাহ সবাইকে পরিপূর্ণ পাপ পরিহারের তাওফিক দিন। আমিন
(লেখা ও ছবি সংগৃহীত )
সুত্র: কালের কন্ঠ
প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩