জীবন-জীবিকায় বরকত : আত্মীয়দের সুসম্পর্ক রাখার মাধ্যমে জীবন-জীবিকায় বরকত বৃদ্ধি পায়। আনাস বিন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি চায় তার রিজিক প্রশস্ত হোক বা তার আয়ু বৃদ্ধি পাক সে যেন আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক করে।’ (বুখারি, হাদিস : ২০৬৭)
অন্য হাদিসে সন্তানের জন্য মা-বাবার দোয়াকে সন্দেহাতীতভাবে কবুল হওয়ার কথা বলা হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া নিঃসন্দেহে কবুল হয়। মজলুমের দোয়া, মুসাফিরের দোয়া ও সন্তানের জন্য বাবা (ও মায়ের) দোয়া।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩১২৯)
অমুসলিম মা-বাবার সঙ্গে সদাচার : অমুসলিম মা-বাবার সঙ্গেও সদাচারের কথা বলা হয়েছে। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমার মা-বাবা যদি তোমাকে পীড়াপীড়ি করে আমার সঙ্গে কাউকে অংশীদার করতে যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই, তুমি তাদের কথা মানবে না, তবে দুনিয়ায় তাদের সঙ্গে ন্যায়সংগতভাবে বসবাস কোরো...।’ (সুরা লোকমান, আয়াত : ১৪-১৫)
আসমা বিনতে আবু বকর (রা.) বর্ণনা করেন, কুরাইশদের সময়ে মুশরিক অবস্থায় আমার মা আমার কাছে আসতেন। তখন তিনি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসুল, আমার মা আমার কাছে আসেন। আমি কি তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখব? তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, তুমি তার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখো।’ (মুসলিম, হাদিস : ১০০৩)
সন্তানের জন্য হুঁশিয়ারি : মা-বাবার সন্তুষ্টিতে ইহকাল ও পরকালীন সাফল্য রয়েছে। মা-বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহারকারীদের জন্য হুঁশিয়ারি রয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেছেন, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক। জিজ্ঞাসা করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল, কোন ব্যক্তি? তিনি বললেন, ‘যে ব্যক্তি বাবা ও মায়ের উভয়কে বা একজনকে বৃদ্ধাবস্থায় পেয়েছে কিন্তু জান্নাতে প্রবেশ করতে পারেনি।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৫৫১)
(লেখা ও ছবি সংগৃহীত )
সুত্র: কালের কন্ঠ
প্রকাশ:২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩