বেহেশতি নারীদের সর্দার হযরত ফাতিমা (রা.) একাদশ হিজরির জামাদিউল-উলার ১৩ তারিখে, কারো মতে জামাদিউসসানী মাসের তৃতীয় দিনে অর্থাৎ হযরত নবী করীমের তিরোধানের মাত্র পঁচাত্তর অথবা পঁচানব্বই দিনের ব্যবধানে তিনি চিরদিনের জন্যে এ নশ্বর পৃথিবী থেকে বিদায় গ্রহণ করেন।
রাসূলুল্লাহ (সা.) চল্লিশ বছর বয়সে নবুওয়াতপ্রাপ্ত হন। এরপর মহান আল্লাহর নির্দেশে গোপনে তিন বছর মানুষকে ধর্মের দিকে দাওয়াত দিতে থাকেন। তিন বছর পর তিনি প্রকাশ্যে নিজের আত্মীয়-স্বজন ও মক্কাবাসীকে ধর্মের পথে দাওয়াত দেন। রাসূলের গোত্র বনু হাশিমের মধ্য থেকে তার চাচা আবু লাহাব তার বিরোধিতা করতে থাকে। আর মক্কার নেতৃস্থানীয় কুরাইশরা সকলে রাসূলের সাথে শত্রুতা শুরু করে।
এর মধ্যে রাসূলের পুত্রসন্তানরা মারা গেলে কাফির-মুশরিকরা রাসূলকে নিয়ে ঠাট্টা করতে থাকে। আস ইবনে ওয়ায়েল রাসূলকে ‘আবতার’ (লেজকাটা) বা নির্বংশ বলে গালি দেয়। সে বলত, ‘আরে মুহাম্মদের তো কোন পুত্রসন্তান নেই,সে মরে গেলে তার নাম নেয়ার মতো ও কেউ থাকবে না।’ রাসূলুল্লাহ্ (সা.) এ কথায় খুব কষ্ট পেতেন। মহান আল্লাহ্ তার এ কষ্ট দূর করার জন্য যে অমূল্য নেয়ামত তাকে দান করেন তিনিই হলেন হযরত ফাতিমা (রা.)। এর প্রেক্ষিতেই পবিত্র কুরআনের সূরা কাওসার নাযিল হয়।
আরবি জমাদিউসসানী মাসের বিশ তারিখে রোজ শুক্রবার, মহানবী (সা.)-এর নবুওয়াত লাভের পঞ্চম বৎসরে, হযরত খাদিজার গৃহে জন্মগ্রহণ করেন ফাতিমা (রা.)। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘ফাতিমা আমার অস্তিত্বের অংশ। যে তাকে রাগান্বিত করে সে আমাকে রাগান্বিত করে।’
Tags
ধর্ম ও জীবন