রমজান মাসে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্ট লাভ করতে
আল্লাহ তাআলার কথা মেনে কাজ করা। রমজান
মাস গুনাহ মাফ করার মাস। এই মাসে আমাদের সকল
পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। আর আল্লাহ
তাআলার সঠিক কাজ অর্জন করতে পারলেই আমরা
পরকালে জান্নাত লাভ করতে পারবো। রমজান
মাসে আল্লাহ তাআলাকে ভয় তথা তাকওয়া অর্জন
করা। তাকওয়া বা আল্লাহর ভয়ই মানুষের যাবতীয়
ইবাদত-বন্দেগিকে গ্রহণযোগ্য করতে কার্যকরী
ভূমিকা পালন করে। রমজানের তাকওয়া অর্জনের
জন্য আরো কিছু সহায়ক কাজ করা আবশ্যক। যা
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
পালন করেছেন।
রমজান মাসে রোজাদারের জন্য আমাদের প্রিয়নবি
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কিছু
গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত কাজ রয়েছে। যে কাজগুলো করা
সব রোজাদারের জন্য একান্ত জরুরি। আসুন সেগুলো
জেনে সঠিক ভাবে চলতে পারি ও তা পালন করতে
পারি।
রমজান মাসে সকল মুসলমানরা ইফতারের সময়
রোজাদারদের ইফতারের দাওয়াত দেয়া এবং
ইফতার বিতরণ করা সুন্নাত। যে অন্য রোজাদারকে
ইফতার করাবে, বা ইফতারি বিতরণ করবে সেও তার
সমান সওয়াব পাবে এবং এতে করে রোজাদারের
সাওয়াব থেকে কিছুমাত্র কমানো হবে না।
তাছাড়া রোজাদারের জন্য রয়েছে আরো কিছু
আমলযোগ্য সুন্নাত। যা রোজাদারের জন্য আল্লাহ
নৈকট্য অর্জনে সহায়ক হবে। যেমন-
>- অধিক পরিমাণে আল্লাহ তাআলার জিকির করা;
>- দিনে ও রাতে কুরআনুল কারিমের তেলাওয়াত
করা;
>- গরীব, দুঃখী ও অসহায়দের মাঝে দান-সাদকা
করা;
>- বিগত জীবনের গোনাহের কথা স্মরণ করে বেশি
বেশি তাওবা ও ইসতেগফার করা;
>- আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীসহ সাহায্য
প্রার্থণাকারী রোগীদের সেবা করা;
>- আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখা এবং
>- নিজের জন্য ও মুসলিম উম্মাহর মাগফেরাত
কামনায় দোয়া করা।
সকল রোজাদার গণ ইফতারের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত
ইফতার সামনে নিয়ে তাসবিহ তাহলিল করতে থাকা
এবং ইফতারের সময় হলে খেজুর দ্বারা ইফতার শুরু
করা। খেজুর পাওয়া না গেলে পানি দ্বারা ইফতার
করা।
ইফতারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা। ইফতার শেষ হলে
আল-হামদুলিল্লাহ বলা।