সারাদিন রোজা রেখে ইফতারে কী শসা খাওয়া যাবে?

রমজান মানেই সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা রাখা, রাতভর ইবাদত ও উৎসবের এক মহিমান্বিত মাস। প্রতি বছর এই সময় মুসলিমদের খাদ্যাভ্যাসেও আসে কিছু পরিবর্তন। ইফতারে রোজাদাররা বিভিন্ন ধরনের খাবার খান। অনেকেই ইফতারে শসা খান, তবে এটা আমাদের শরীরে কেমন প্রভাব ফেলে সেটা জানি না। রোজায় ইফতারে খাওয়ার বিষয়টি নিয়ে পুষ্টিবিদ আর চিকিৎসকরা বিস্তারিত কথা বলেছেন।

বিজনেস রেকর্ডারের এক প্রতিবেদনে বলা হয় শসা পৃথিবীর চতুর্থ সর্বাধিক চাষ করা সবজি। শসা শরীরের সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম সেরা খাবার হিসেবে পরিচিত। প্রায়ই শসাকে সুপারফুড হিসেবে উল্লেখ করা হয়। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, শসার মতো উদ্ভিজ্জ খাবারের ব্যবহার বাড়ানো ওজন, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। রমজানের সময়, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় শসাকে বিভিন্ন ভ্যারিয়েশনে ব্যবহার করতে পারেন। এই রমজানে শসার মতো স্বাস্থ্যকর খাবার আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করে তাজা এবং সুস্থ থাকতে পারবেন।

ওজন কমানো এবং হজমের উন্নতি:

শসাতে ৯৫% পানি থাকে এবং এটি কম ক্যালোরি যুক্ত, যার ফলে এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে এবং খাবার হজমে সহায়ক। শসার খোসায় ভিটামিন সি থাকে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানির পরিমাণ এবং ডায়েটারি ফাইবার বেশি থাকার কারণে শসা ওজন কমাতে সহায়ক।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট:

শসা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান যেমন ভিটামিন সি, বিটা-ক্যারোটিন এবং ম্যাঙ্গানিজের একটি চমৎকার উৎস। এতে একাধিক ফ্লাভোনয়েড অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও থাকে। ৯৫% পানি থাকার কারণে এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে এবং টক্সিন বের করতে সহায়ক। ফলে, রমজানে শরীর সুস্থ এবং সতেজ থাকবে।

ক্যানসার প্রতিরোধ:

গবেষণায় দেখা গেছে, শসায় থাকা তিনটি লিগনান (ল্যারিসিরেসিনল, পিনোরেসিনল এবং সেকোইসোলারিসিরেসিনল) বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সক্ষম। বিশেষভাবে স্তন ক্যানসার, ডিম্বাশয় ক্যানসার, জরায়ু ক্যানসার এবং প্রস্টেট ক্যানসারের বিরুদ্ধে এটি কার্যকর।

হাড়ের স্বাস্থ্য: ভিটামিন কে হাড়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং এর কম পরিমাণে গ্রহণ হাড়ের ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। শসা একটি ভাল উৎস হিসেবে ভিটামিন কে সরবরাহ করে, যা ক্যালসিয়াম শোষণ বাড়াতে সাহায্য করে এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।[inside-as-2]

ত্বক: শসা ত্বকের জন্য শান্ত এবং শীতল প্রভাব সৃষ্টি করে, যা ফুলে যাওয়া এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি স্লাইস করে ব্যবহৃত হলে প্রভুর মধ্যে পাফিনেস কমাতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাগুণ সূর্য থেকে ত্বকের পোড়া বা ট্যান দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, শসায় থাকা সিলিকন এবং সালফার চুলের বৃদ্ধি উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে।

রমজানে শসাকে আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা একটি চমৎকার সিদ্ধান্ত হতে পারে, কারণ এটি শুধু শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে না, বরং নানা উপকারিতাও প্রদান করে।


সূত্র:দৈনিক শিক্ষাডটকম

Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post