মানবজাতির সকল সমস্যার সমাধান মহা গ্রন্থ আল কোরআন


একজন মুসলমানের বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু হল তাদের সৃষ্টিকর্তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের ইহকাল ও পরকালে চিরস্থায়ী শান্তি, সুখ এবং তৃপ্তি লাভ করতে সক্ষম করার জন্য আমাদের প্রভু সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য। আমাদের প্রভুর সাথে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য পবিত্র কোরআনের মাধ্যমে আমাদের সৃষ্টিকর্তার নির্দেশনা অনুসরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; এই দিকনির্দেশনাটি শুধু মুসলিমদের জন্য দেওয়া হয়নি বরং এটি সমগ্র মানবজাতিকে উপহার দেওয়া হয়েছে সকল সমস্যার সমাধান হিসাবে, যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ

“এবং আমি কুরআন নাযিল করেছি মুমিনদের জন্য নিরাময় ও রহমত হিসেবে (পবিত্র কোরআন- ১৭;৮২) ।

পবিত্র কোরআনের ভাষ্য মতে অন্তরের প্রশান্তি আসে আল্লাহ তায়ালার স্মরণে।

"সত্যিই, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার স্মরণে অন্তর শান্তি পায়   (আল কোরআন-১৩;২৮) ।"

যাইহোক, এই জগতের বস্তুগত দিক গুলিতে মত্ত হয়ে আমরা খুব সহজে ভুলে যায় যে এখানে আমাদেরকে কেন পাঠানো হয়েছে। আমাদেরকে এখানে জাগতিক বস্তুগত অর্জনের জন্য পাঠান হয়নি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে এগুলর কোন প্রকৃত মূল্য নেই; বরং আমরা এখানে এসেছি একটি পরীক্ষার অংশ হিসাবে এবং আল্লাহ আমাদেরকে এখানে তার ইবাদাতের জন্য পাঠিয়েছেন।পৃথিবীতে আমাদের যে সম্পদ এবং পার্থিব ভালো আছে তার স্থায়ী মালিক আমরা নই বরং সেগুলি কেবল অস্থায়ী। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের পরীক্ষা করছেন যে আমরা এই সম্পদ তার অন্য সৃষ্টির সাথে ভাগ করে নিচ্ছি কিনা; আমরা আমাদের ভাই ও বোনদের তাদের প্রয়োজনের সময় সাহায্য করি কিনা তা দেখতে। একবার আমরা জীবনের এই উদ্দেশ্যটি শনাক্ত করলে, আমরা তখন পৃথিবীতে আমাদের সামগ্রিক উদ্দেশ্য হাচিল করতে সক্ষম হব।

ইসলামের অস্তিত্বই পবিত্র কুরআনের মতো সুস্পষ্ট প্রমাণের উপর ভিত্তি করে-

পবিত্র কোরান শুধুমাত্র মানবজাতির জন্য নির্দেশিকা হিসাবে নাযিল হয় নি, এতে সত্য বৈজ্ঞানিক তথ্যও রয়েছে যা মানুষ আজ আবিষ্কার করছে।

"নিশ্চয়ই তিনি নিদর্শনাবলী নাযিল করেছেন যা স্পষ্ট করে দেয় এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা যাকে ইচ্ছা সঠিক পথে পরিচালিত করেন।" (আল কুরআন ২৪; ৪৬)

এটা আমাদের সামাজিক অবস্থান, পার্থিব সম্মান, বা আমাদের ব্যাংক একাউন্টের ব্যালেন্স নয় যা আমাদেরকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার সামনে দৃঢ় অবস্থানে রাখবে। আমাদের পার্থিব ভালো কাজ, আমাদের দান, আমাদের প্রভুর প্রতি আমাদের আনুগত্য, অন্যদের প্রতি আমাদের নম্রতা এবং উদারতা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে আমাদের উদ্দেশ্য আমাদেরকে মহান আল্লাহ তায়ালার নিকটতম করে তুলবে এবং আমাদের ইহকাল এবং পরকালের সাফল্যের মাপকাঠি নির্ধারণ করবে । তাই আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই এবং আমাদের প্রভুর সামনে আমাদের অবস্থান সুদৃঢ় করি এবং অন্যদের সাহায্য করার জন্য আমরা যা করতে পারি তা করি।

সূত্র: এডু পোস্ট বিডি

Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post