অজু ও মিসওয়াকের বাহ্যিক লাভ

ইসলামী বিধান মানার দ্বারা বান্দা ইহকাল ও পরকাল উভয়কালে পুরস্কার লাভ করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের অনুগত হবে এবং সৎকর্ম করবে, আমি তাকে দুবার পুরস্কার দেব। আর আমি তার জন্য সম্মানজনক রিজিক প্রস্তুত করে রেখেছি।’ (সুরা আহজাব, আয়াত : ৩১)

অজুর বাহ্যিক লাভ

অজুতে হাত-পা ও মুখমণ্ডল ধোয়া ফরজ। কাজকর্ম ও হাঁটাচলার সময় এ অঙ্গগুলো খোলা থাকে। ফলে তা ময়লাযুক্ত, দূষিত জীবাণুযুক্ত ও ভাইরাসযুক্ত হয়। পরে তা থেকে অন্যত্র ছড়ায়। মহান আল্লাহ দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। নামাজগুলো পড়তে হয় কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে। নামাজের জন্য অজু শর্ত। নামাজি বারবার অজু দ্বারা জীবাণু ও ভাইরাসমুক্ত হয়। গাফিলতি থেকে মুক্তি পায়। তার ক্লান্তি দূর হয়। মনে প্রশান্তি আসে। বোধশক্তি প্রখর হয়। কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি পায়। সে আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। ইরশাদ হয়েছে, ‘...আর আল্লাহ পবিত্র লোকদের ভালোবাসেন।’ (সুরা তাওবা, আয়াত : ১০৮)

মিসওয়াকের বাহ্যিক লাভ

কোনো পাত্রে খাবার খাওয়ার পর তা পরিষ্কার না করলে পাত্রটি দুর্গন্ধযুক্ত হয়, নষ্ট হয়ে যায়। তেমনি সময়মতো মুখ পরিষ্কার না করলেও তা দুর্গন্ধযুক্ত হয়, মুখে অনেক ধরনের সমস্যা শুরু হয়। তাই মিসওয়াক বা ব্রাশ দ্বারা মুখ পরিষ্কার করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আমার উম্মতের জন্য যদি কঠিন মনে না করতাম, তাহলে প্রত্যেক নামাজের সঙ্গে তাদের মিসওয়াক করার হুকুম করতাম।’ (বুখারি, হাদিস : ৮৮৭)

সাত স্থানে মিসওয়াক করা মুস্তাহাব

দাঁত হলুদ হলে। মুখ দুর্গন্ধযুক্ত হলে। ঘুম থেকে জাগ্রত হলে। নামাজের জন্য দাঁড়ালে। ঘরে প্রবেশ করলে। কোরআন তিলাওয়াত করলে। কোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলে। (আল বাহরুর রাইক : ১/২০)

(লেখা ও ছবি সংগৃহীত )
সুত্র: কালেরকন্ঠ
প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ 

Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post