যেসব শর্তে কবুল হবে মুমিনের তওবা

গুনাহ বা অন্যায় কাজ থেকে ফিরে আসাই তওবা। ওলামায়েকেরাম তওবা করাকে ওয়াজিব বলেছেন। বান্দার তওবা কবুল হওয়ার জন্য রয়েছে বেশকিছু শর্ত। গুনাহ যদি আল্লাহ এবং বান্দার মধ্যকার বিষয় হয় এবং কোনো বান্দার সম্পৃক্ততা না থাকে, তবে তওবা কবুল হওয়ার জন্য তিনটি শর্ত পালন করা আবশ্যক। তাহলো-
১. বান্দাকে গুনাহ থেকে বিরত থাকতে হবে।
২. বান্দাকে কৃত গুনাহের জন্যে আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত হতে হবে।
৩. পুনরায় গুনাহ না করার ব্যাপারে বান্দাকে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে হবে।
যদি এই তিনটি শর্তের মধ্যে একটি শর্তও লঙ্ঘণ হয় তাহলে তওবা কখনো শুদ্ধ হবে না।
পক্ষান্তরে গুনাহের কাজটি যদি বান্দার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়, তবে সে ক্ষেত্রে উল্লেখিত ৩ শর্তের সঙ্গে আরও একটি শর্ত যুক্ত হবে। তাহলো-
৪. অপরাধী ব্যক্তি হকদার ব্যক্তির হক আদায় করতে হবে। যেমন-
কেউ যদি অন্যায়ভাবে কারও ধন-মাল বা বিষয়-সম্পত্তি জোর-জবরদস্তির মাধ্যমে দখল করে নেয়, তবে তা ফেরত দিতে হবে। কারও প্রতি মিথ্যা অপবাদ দিলে অপরাধীকে নির্দিষ্ট হদ বা শাস্তি ভোগ করতে হবে, নতুবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। এমনকি কারো অনুপস্থিতিতে গিবত-শেকায়াত করলে সে ব্যাপারেও ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।

এ ৪টি শর্ত পূর্ণ করতে পারলেই মুমিনের তওবা আল্লাহ তাআলা কবুল করবেন। এ জন্য প্রয়োজন আল্লাহর দিকে ফিরে আসার একনিষ্ঠ মন ও সিদ্ধান্ত। তবেই তওবার সুফল পাবে মুমিন।
আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুসলিমাকে তওবার জন্য উল্লেখিত চারটি শর্ত পালনের মাধ্যমে পরিপূর্ণ তওবা করে আল্লাহ পথে ফিরে আসার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post