রোজাদারকে ইফতার করানোর মধ্যে রয়েছে সীমাহীন
সওয়াব। হজরত সালমান (রা.) বর্ণিত এক হাদিসে
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো
রোজাদারকে ইফতার করাবে, এর দ্বারা তার গুনাহ
ক্ষমা করা হবে এবং তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি
দেওয়া হবে।
আর রোজাদারের সমপরিমাণ নেকি তাকে দান করা
হবে অথচ রোজাদারের প্রাপ্য নেকি একটুও কমানো
হবে না। সাহাবাগণ আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসূল!
আমাদের মধ্যে সকলের তো রোজাদারকে ইফতার
করানোর মতো সংগতি নেই! রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন,
যে কেউ কোনো রোজাদারকে একটি মাত্র খেজুর
দিয়ে বা পানি পান করিয়ে অথবা এক ঢোক দুধ দিয়ে
ইফতার করাবে, মহান আল্লাহ তাকে এই সওয়াব দান
করবেন।
আর যে কোনো রোজাদারকে পরিতৃপ্ত করে খাওয়াবে,
মহান আল্লাহ তাকে কিয়ামতের দিন আমার হাউস
থেকে এমন শরবত পান করাবেন যে জান্নাতে প্রবেশের
আগে তার আর পিপাসা লাগবে না।(সহিহ ইবনে
খুজাইমা ১৮৮৭, বায়হাকি, শুআবুল ইমান : ৩৩৩৬, আত-
তারগিব ওয়াত-তারহিব : ১৭৫৩)
ইফতারের আগে দোয়া
সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারের আগে ইফতারি
সামনে নিয়ে দোয়া করলে সেই দোয়া আল্লাহ রাব্বুল
আলামিন অবশ্যই কবুল করেন বলে মহানবী (সা.)
হাদিসে বলেছেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) একটি
হাদিস বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তিন
ব্যক্তির দোয়া কবুল না করে ফিরিয়ে দেওয়া হয় না—
ক. ন্যায়বিচারক শাসনকর্তার দোয়া, খ. ইফতারের
আগে রোজাদারের দোয়া এবং গ. মাজলুমের
(নির্যাতিত ব্যক্তির) দোয়া।